সিবিএন:
রবিবার বিকাল ঠিক ৪ টা। অফিসিয়াল কাজে থানার ওসি বাইরে ছিলেন। অফিসে ফিরে থানা কম্পাউন্ডে দেখেন সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ আবদুল করিম। গাড়ী থেকে নামতেই অভিযোগের দরখাস্ত হাতে ওসির সামনে হাউ মাউ কেঁদে ফেলেন তিনি।
অভিযোগ যে সন্তানকে নিজে না খেয়ে খাইয়ে ও কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে, সে মাদক সেবী সন্তান বাবাকে মারধর করে আহত করেছে। একবার দুবার নয় বহু বার। সামাজিক বিচার অাচারও মানেনা। সর্বশেষ ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১ টায় বাড়ীর আলমিরা ভেঙ্গে ৫ হহাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেওয়ার বাবাকে মারপিট করে শারিরীক ভাবে আহত করেছে। তাই অবাধ্য সন্তানকে পুলিশে দেওয়ার জন্য মহেশখালীর ইউ এন ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট অভিযোগ দিয়ে তার অাদেশ নিয়ে সারা দিন বসে অপেক্ষায় ছিল থানার বারান্দায়। বাইর থেকে এসে বাবার বয়সের এবৃদ্ধকে দেখে ওসি স্বআগ্রহে জানতে চাওয়ার সাথে সাথেই বৃদ্ধার অার্তনাদ। শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন ওসি। বলেন এই বয়সে ছেলের হাতে বাবা নির্যাতন তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। ঘটনাস্থল থানা থেকে অন্তত ৩৫ কি:মি: দুরে। মাতারবাড়ী ইউনিয়নের তিতামাঝির পাড়া গ্রাম। ওই গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল করিম। বয়স অনুমানিক ৭০। তার ২য় ছেলে অাব্দুল আজিজ (২৬) তাকে পিটিয়েছে। মাত্র ২ ছেলে ৩ মেয়ে। ছেলে পুরান বাজারে মোবাইল/ কম্পিউটারের দোকান করে। বাবার টাকায় বিদেশও পাঠিয়েছিল। ফিরে এসে মাদকাসক্ত হয়ে বখাটে সন্ত্রাসীদের সাথে মিশে খারাপ হয়ে যায়। বাবার অবাধ্য হয়ে বউ তুলে এনে বিয়েও করেছেন। মা বাবাকে ভরণ পোষণ দেয়না। মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুুমার দাশ বৃদ্ধার সমস্ত অভিযোগ থানার নীচে দাঁড়িয়ে শুনে তাৎক্ষনিক ওই পিতার অবাধ্য সন্ত্রাসী পুত্রকে ধরে থানায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে।

 

-সাংবাদিক ফরিদ দেওয়ানের ফেসবুক থেকে নেওয়া।